মিয়ানমার অংশে নাফ নদের তীরে কাদায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা শিশুটির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম তৌহিদ। মিয়ানমারের মংডু থানার বড়গজিরবিল গ্রামের বাসিন্দা ছিল সে। বাবার নাম জাফর আলম, তিনি মালয়েশিয়াপ্রবাসী। শিশুটির মায়ের নাম ছেনোয়ারা বেগম।
গত রোববার রাতে মিয়ানমারের বড়গজিরবিল গ্রাম থেকে একদল রোহিঙ্গা নৌকা নিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টার সময়ে ডুবে যাওয়া নৌকায় অন্যদের সঙ্গে তৌহিদ ও তার মাও ছিলেন। পরে তার লাশ পাওয়া যায় মিয়ানমারের নাফ নদের কাদায় আটকে থাকা অবস্থায়।
এই নৌকাডুবির পর রেহেনা বেগম নামের এক নারী সাঁতার কেটে বাংলাদেশের জলসীমায় লালদিয়া দ্বীপে আশ্রয় নেন। গতকাল ভোরে বাংলাদেশি জেলেরা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত রাতে সাংবাদিকরা তৌহিদের ছবি রেহেনা বেগম দেখিয়ে তার পরিচয় জানতে চান। তখন তিনি জানান, শিশুটির নাম তৌহিদ। সে তাঁর খালাতো ভাই। নৌকাডুবির সময় মাসহ তৌহিদও নৌকাটিতে ছিল।
উদ্ধার হওয়া ওই নারী স্থানীয় সাংবাদিকদের আরো জানান, টেকনাফের এক দালালের মাধ্যমে তাঁরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। নৌকাটি ছোট হলেও অতিরিক্ত বোঝাই হওয়ায় নৌকাটি ডুবে যায়।
শিশুটির ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর তার পরিচয় না পাওয়ায় শিশুটিকে ‘মিয়ানমারের আয়লান’ বলে ডাকা হচ্ছিল। প্রায় একই রকম ভঙ্গিতে গত বছর ভূমধ্যসাগরের তীরে পড়ে ছিল সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির মৃতদেহ। সে সময় আয়লানের ছবি প্রকাশের পর শরণার্থী সমস্যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও আলোচনা শুরু হয়। বলা হয়ে থাকে, ওই ছবি প্রকাশের পরই ঘুম ভাঙে ইউরোপের।
পাঠকের মতামত: